সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ
শিকারীপাড়া টি.কে.এম. উচ্চ বিদ্যালয়টি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানাধীন শিকারীপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড শিকারীপাড়া গ্রামে ৬.১১ একর জায়গার উপর অবস্থিত। বিদ্যালয়টিতে ৩ টি দ্বিতল পাকা ভবন ও ১টি একতল অডিটরিয়াম রহিয়াছে। ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার জন্য একটি বিশাল খেলার মাঠ রহিয়াছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পাঠদানের অনুমোদন রহিয়াছে।
প্রতিষ্ঠাকালঃ
শিকারীপাড়া টি.কে.এম. উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৩২ সালের ১ লা এপ্রিল প্রয়াত জ্ঞানেন্দ্র কুমার বালো মজুমদারের সুদীর্ঘ ও অক্লান্ত প্রয়াসে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯০৫ সনে জীর্ন ছনের ঘরে বরিশাল থেকে আগত বিদ্যোৎসাহী কানুনগো মরহুম শাহাদৎ আলী খান যে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন, শ্রী জ্ঞানেন্দ্র কুমার বালো মজুমদারের ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেখানে ১৯১৩ সালে মাইনর এবং ১৯৩২ সালে উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি ১৯৩৪ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি লাভ করে।
বিদ্যালয়ের ইতিহাস ঃ
বিদ্যালয়ের এই মোহনীয় পরিবেশ, প্রতিকৃতি এক দিনে গড়ে উঠেনি। জীবনী শক্তি তিলে তিলে ক্ষয় করে কয়েকজন ক্ষনজন্মা পুরুষ এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। ১৯১২ সালে শাহাদৎ আলী খান নামে এক স্বনামধন্য কাননগো কয়েক জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে একটি ছোট্ট ছনের ঘরে ছোট্ট একটি পাঠশালা স্থাপন করেন। সেই ছোট্ট জ্ঞানবৃক্ষ আজ ফুলে ফলে সুশোভিত হয়ে বাস্তবে রুপ লাভ করেছে । ১৯১৩ সালে এই ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানটি হলো একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় । ১৯৩২ সালে এক সিংহ পুরুষ স্বর্গীয় বাবু জ্ঞানেন্দ্র কুমার বালো মজুমদার তাঁর ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভা নিয়ে এগিয়ে আসেন । কালের স্রোত এগিয়ে চলে। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য তৎকালীন প্রাক্তন ছাত্র সমিতির উদ্যোগে বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মাননীয় সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম মিয়া , সম্মানিত সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আলীমোর রহমান খান (পিয়ারা), আলহাজ্ব এম.এ. জববার মোল্লা, প্রাক্তন ছাত্র সংসদ, বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলী সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জাতি ধর্ম দলমত নির্বিশেষে সকলের সার্বিক সহযোগীতায় বিদ্যালয়ের সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে। অত্র বিদ্যালয়ের স্বানামধন্য প্রধান শিক্ষক মরহুম কাজী আক্কাছ উদ্দিন সাহেবের মৃত্যুর পর মরহুমা রিজিয়া বেগম তার স্বামীর স্মৃতি অক্ষুন্ন রাখার জন্য তাঁর বাড়ী-ঘর ও তৎসংলগ্ন ১৪১ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ে দান করে এক অতুলনীয় ইতিহাস সৃষ্টি করেছেণ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস